Header Ads Widget

Responsive Advertisement

স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

 

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ১৮ দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী মেয়ের বাড়ি রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য সুলতান বাহাদুর গ্রামে হলেও ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরগুকুন্ডা গ্রামে অভিযুক্ত ড্রাইভারের বাড়িতে। 

বাড়িতে আটকে রাখার ১৮ দিন পর বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী মেয়েটি অভিযুক্ত ড্রাইভার ফজলুর বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজারহাট উপজেলার গতিয়াসামে মামার বাড়িতে আসার সময় ফজলুর লোকজন পথরোধ করে আবারও নিয়ে যেতে চায়। এ সময় সে কৌশলে পালিয়ে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম গ্রামের আব্দুল বাছেদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

ভুক্তভোগী ১৭ বছরের কিশোরী জানায়, গত ১ মার্চ বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ড্রাইভার ফজলুল হক ও তার স্ত্রী বাড়িতে এসে ভয়ভীতি দেখান। পরে এক পর্যায়ে অস্ত্রের মুখে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে ফজলুল হক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। এভাবে ১৮ দিন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানায় ভুক্তভোগী তরুণী। 

এরমধ্যে ফজলুল হকের সহযোগী সেলিম মিয়াও তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে বলে জানায় সে।

রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম এলাকার আরিফ হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগী মেয়েটির আশ্রয় নেয়ার খবর পেয়ে সেখানে যাই এবং ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাই। পরে আমরা এলাকাবাসী সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেই। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে অভিযুক্ত ড্রাইভারের বাড়িতে গেলে ড্রাইভার ফজলুল পালিয়ে যায়। এরপর তার বাড়ি থেকে ছুরি, কাচিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হেলেনা পারভীন ফজলুর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে সরিষা বাড়ি বাজারের কাছে বাছেদ উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নিলে বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। পরে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার মো. তসলিম উদ্দিন জানান, ঘটনা জানার পর মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি লালমনিরহাট সদরে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ